দিনাজপুরে আবু ছালাম মোল্লা হত্যার ছয় বছর পর মামলার রায়ে তার স্ত্রী ফাহমিনা বেগমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
হত্যায় জড়িত আরও এক ব্যক্তিকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দিনাজপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভূঞা রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রবিউল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন হযরত আলী বেলাল।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ফাহমিনা বেগম ও একই উপজেলার নিয়ামতপুর নতুনবাজার এলাকার মানিক রবিদাস ওরফে আর্ট মানিক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলা শহরের মোজাফফর হোসেন মহল্লার বাসিন্দা মুদি দোকানদার আবু ছালাম মোল্লার মরদেহ নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছালামের বড়ভাই আবু হোসেন মোল্লা পার্বতীপুর থানায় ছালামের স্ত্রী ফাহমিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত চলাকালে ফাহমিনা স্বেচ্ছায় বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন।
আদালতে বিচারকের কাছে ফাহমিনা জানান, ছালাম তাকে ও মানিককে নিয়ে সন্দেহ করত। তিনি ফাহমিনার নামে জমি লিখে দিতে চেয়েও পরে আর দেননি। এই ক্ষোভে ঘটনার দিন ভোর ৪টার দিকে ফাহমিনা মানিককে ডেকে পাঠান। পরে দুই জনে মিলে নাইলনের দড়ি ছালামের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে ছালামের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন তারা।
ফাহমিনার দেয়া তথ্যমতে, মানিককে গ্রেপ্তার করে মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মামলার দুই মাস পর ফাহমিনা ও মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
এ মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষে রোববার রায় ঘোষণা করে আদালত।