বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়ি ভারতে, চাকরি সিলেটে

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৩৪

পরিচয় গোপন করা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা সিলেটে থাকলেও প্রায়ই অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া-আসা করেন। তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগও আছে।

পরিচয় গোপন রেখে বাংলাদেশে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার উচ্চ পদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে বিদেশি এক নাগরিকের বিরুদ্ধে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ।

অন্য একটি দেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অধীনে কীভাবে তিনি কাজ করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, পরিচয় গোপন করা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা সিলেটে থাকলেও প্রায়ই অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া-আসা করেন। তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগও আছে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। সচিব আরেকজন যুগ্ম সচিবকে দিয়ে তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষীও করা হয়নি, আবার ছাড়ও দেয়া হয়নি।

দায়সারাভাবে তদন্ত হওয়ায় প্রতিবেদনটি আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি। এ জন্য সচিবকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কাউকে দিয়ে তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। আমরা সঠিক তথ্য জানতেই আবারও তদন্তের কথা বলেছি।’

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ এনামুল হক, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহ উদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন ও রাবেয়া আলীম অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটিতে প্রেরিত ‘মহাসড়ক বিল, ২০২১’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রয়োজনীয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের জন্য সংশোধিত আকারে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।

এদিকে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কমিটির পক্ষ থেকে তাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানানো হয়।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবদ্বয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানদ্বয়, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর