বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিসিএস প্রশাসন একাডেমির লিজ বাতিলের দাবিতে সমাবেশ

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:১৮

বাপা কক্সবাজারের সভাপতি বলেন, ‘কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে প্রশাসন একাডেমি গড়ে উঠলে এই অঞ্চলের পশুপাখি উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। নতুন করে ৭০০ একর বনভূমি ধ্বংস করা হলে মানুষের নিঃশ্বাস নেয়াও বন্ধ হয়ে যাবে। দ্রুত লিজ বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।’

কক্সবাজারের কলাতলীর দরিয়া নগরের শুকনাছড়ির ৭০০ একর বনভূমিতে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির লিজ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পরিবেশবাদীরা।

মেরিন ড্রাইভ সড়কে রোববার বিকেলে মানবপ্রাচীরসহ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

মেরিন ড্রাইভ সড়কের শুকনাছড়িতে মুখে কালো পতাকা বেঁধে মানবপ্রাচীরে অংশ নেন এলাকাবাসীসহ পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মানবপ্রাচীর কর্মসূচি শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপা কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী।

বক্তব্য দেন বাপা কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলামসহ অনেকে।

ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘সংরক্ষিত বনে প্রশাসন একাডেমি গড়ে উঠলে এই অঞ্চলের পশুপাখি উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে এরই মধ্যে হাতিসহ পশুপাখির বিশাল আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত মারা পড়ছে হাতি।

‘নতুন করে ৭০০ একর বনভূমি ধ্বংস করা হলে মানুষের নিঃশ্বাস নেয়াও বন্ধ হয়ে যাবে। দ্রুত লিজ বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।’

মেরিন ড্রাইভ সড়কে রোববার বিকেলে মানবপ্রাচীরে অংশ নেন এলাকাবাসীসহ পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মী। ছবি: নিউজবাংলা

কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন শুকনাছড়ির রক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এলাকাটি প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।’

তিনি বলেন, ‘বিপন্ন এশীয় বন্যহাতিসহ দেশের অনেক বিপন্নপ্রায় বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বসতি কক্সবাজারের এই বনভূমি। এখানে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্টত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। এডমিন একাডেমির নামে দেয়া বন্দোবস্ত শিগগিরই বাতিল করতে হবে।’

সমাবেশে বলা হয়, ১৯৯০ সালে জারি করা ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় ও পাহাড়ের ঢাল বন্দোবস্তযোগ্য নয়। ওই জমি বনায়নের জন্য ব্যবহার করবে বনবিভাগ। বন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের রক্ষিত বনে কোন ধরনের স্থাপনা করা নিষিদ্ধ।

কলিম উল্লাহ আরও বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় দেশের অন্যতম জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সংরক্ষিত এ বনভূমিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে খাসজমি হিসেবে দেখিয়েছে। ঝিলংজা মৌজার এ বনভূমি যে খাসজমি নয়, তা সরকারি নথি ও রেকর্ডেই আছে।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মালিকানাধীন ছাড়া যেকোন জমি কাউকে দিতে হলে তা আগে অধিগ্রহণ করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের ৭০০ একর জমি মাত্র এক লাখ টাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কাজে রাষ্ট্রের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’

বাপা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা যথেচ্ছভাবে ক্ষমতা, সরকারি অর্থ ও সম্পদের ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের নতুন নতুন পথ নির্মাণ করছেন। কক্সবাজারে নতুন প্রশাসন একাডেমি এমন আরেকটি উদ্যোগ।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্যা নেচার অফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সভাপতি ওমর ফয়েজ হৃদয়, বাপা নেতা সমীর পাল, জসিম উদ্দিন, ঈসমাইল সাজ্জাদ, এম ওসমান আলী, আজিম নিহাদ, মোহাম্মদ হোসাইন, দোলন ধর, পারভেজ মোশাররফ, শহিদুল ইসলাম শাহেদসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর