প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনের বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী।
‘বাংলাদেশ: উন্নয়নের ১ যুগ’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীতে রয়েছে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত এক যুগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বৈশ্বিক অঙ্গনে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলোকচিত্র। শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের দুর্লভ ছবিও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে রোববার বেলা ১১টায় ফিতা ও কেক কেটে উদ্বোধন করা হয় তিন দিনের এই আয়োজন।
প্রদর্শনীর প্রথম দিনেই দেখা গেছে দর্শনার্থীর ভিড়। প্রধানমন্ত্রীর জীবনের দুর্লভ ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। খুঁজে পেয়েছেন শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের নানান দিক।
শেখ হাসিনার ছোটবেলা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত জীবনের বিভিন্ন ধাপের ছবিতে সাজানো হয়েছে এই চিত্র প্রদর্শনী। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্ম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, ভাই-বোনদের মাঝে তার বেড়ে ওঠা; শিক্ষাজীবন; সাংসারিক জীবন; পারিবারিক জীবন; সন্তানদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের দুর্লভ ছবি রয়েছে প্রদর্শনীতে।
দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রীর জীবনের দুর্লভ সব ছবি
এ ছাড়া, ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, সামরিক শাসনের সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন, নব্বই-পরবর্তী সময়ের সংগ্রাম, ২০০১ সালে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গত ১২ বছরে দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন ছবিও স্থান পেয়েছে চিত্র প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনী দেখতে আসা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাকিলা মজুমদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠার ছবিগুলো দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমরা সাধারণত গুগল বা যেকোনো মাধ্যমে এই ছবিগুলো সাধারণত পাই না। এখানে এসে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।’
শাকিলার বন্ধু আবদুল্লাহ আফ্রিদী বলেন, ‘এখানে এসে প্রধানমন্ত্রীর জীবনের শুরুর দিকের ছবি দেখে ভালো লাগছে। অনেক বড় বড় সংগ্রামের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে কবি সুফিয়া কামালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি।
‘এখানে প্রতিটি ছবিতে বাংলাদেশের কোনো কোনো না ইতিহাস রয়েছে। এভাবে একসঙ্গে ছবিগুলো দেখতে পেয়ে রোমাঞ্চিত বোধ করছি।’
দর্শনার্থী ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‘এখানকার সব ছবিই আমাদের প্রজন্মের কাছে অচেনা। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে এখন দেখি, তার বাইরেও যে ওনার এত অবদান সেটি এখানে উঠে এসেছে।’
নব্বই-পরবর্তী সময়ে সংগ্রাম ও ২০০১ সালে গ্রেনেড হামলার সময়ের ছবি বেশি টেনেছে দর্শনার্থী রাজিয়া ফেরদৌসীকে। তিনি বলেন, ‘এই প্রদর্শনী আমাদের মতো নতুন প্রজন্মের সামনে অনুপ্রেরণাদায়ী।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নদর্শন তরুণদের সামনে তুলে ধরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেই এ আয়োজন বলে জানিয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
প্রদর্শনীটি মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান হবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায়। শেরাটন ঢাকা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।