পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা তাপস হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৬ আসামির নাম বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাদীর নারাজি পিটিশনের শুনানি শেষে রোববার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল আমিন এজাহারভুক্ত সব আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।বাদীপক্ষের শুনানিতে অংশ নেয়া অ্যাডভোকেট কমল দত্ত জানান, যুবলীগ নেতা তাপস হত্যা মামলার তদন্ত করে ২৮ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মতিন খান ২০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
মামলার বাদী পঙ্কজ দাস ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দেন।
রোববার শুনানি শেষে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৩৬ আসামির নামেই মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেন।
কমল দত্ত আরও জানান, শুনানির পর বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, এরই মধ্যে যেসব আসামি জামিনে আছেন, তাদের জামিন বহাল থাকবে। আর যেসব আসামি আদালতে অনুপস্থিত বা অনুপস্থিত থেকে সময়ের আবেদন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। তবে অনুপস্থিত আসামিরা যদি হাইকোর্টে আবেদন করে থাকেন, আর যদি সে আবেদন পেন্ডিং থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু হবে না।
তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল আজ নারাজি শুনানিতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করেছেন। তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে।’
এ ব্যাপারে মেয়র জিয়াউলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।মামলার বাদী পঙ্কজ দাস জানান, ২০২০ সালের ২৪ মে বাউফল থানার সামনে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা তাপস ছুরিকাহত হন। রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাপস মারা যান।
পরদিন বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৬ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা করেন তাপসের ভাই পঙ্কজ দাস।
পঙ্কজ দাস বলেন, ‘আজ আদালতের নির্দেশ শুনে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে ন্যায়বিচার পাব।’ আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজাহিদ জাহিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।