বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিশেষ পরীক্ষা’ দেবে চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্যরা

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:০০

স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করার যে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য নয়, দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।

অনার্স চতুর্থ বর্ষে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ‘বিশেষ পরীক্ষা’ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারি বিবেচনায় নভেম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৯৩তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

এর আগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করার অভিযোগ ওঠে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অনশনে বসলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জের পর স্বাভাবিক হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।

সে সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেছিলেন ‘স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করার যে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য নয়। কারণ আমরা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছি, ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, অর্থাৎ তারা অনুপস্থিত ছিলেন। এ হিসাবে ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। আর এই ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী কিন্তু সব বিষয়ে ফেল করেননি। কেউ হয়তো এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করেছেন। ফেলের এ হার অস্বাভাবিক নয়। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অনার্স প্রথম বর্ষে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার দেয়া, কোভিডকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে নিজ নিজ কলেজে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ছাড়া করোনার কারণে যেসব শিক্ষার্থীর মনোবল ভেঙে পড়েছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি কাটানোর জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর