বরগুনার পাথরঘাটায় জোর করে এক স্কুলছাত্রীর ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে তারই দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে।
পাথরঘাটা থানায় রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা মামলাটি করেন। এতে আসামি করা হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর দুই ছেলে সহপাঠীকে।
আসামি এক কিশোরের বাড়ি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে। অপরজনের বাড়ি পৌরশহরে। ভুক্তভোগী কিশোরী ও মামলার আসামিরা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি দুই কিশোরের একজন ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে গত বছর ওই কিশোরের পরিবারের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রীর স্কুলব্যাগ নিয়ে নেয় উত্যক্তকারী কিশোর। পরে ব্যাগ আনতে গেলে সে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে। আসামি অন্য কিশোর সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত শুক্রবার ওই ভিডিও ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীর মা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত কিশোরদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেদিন রাত ৯টার দিকে তিনি বিষয়টি পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশারকে জানান।
পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে রোববার দুপুরে আইনি সহযোগিতা দেয়ার জন্য ছাত্রীর মাকে থানায় ডাকে।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার জানান, ওই স্কুলছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে ওই দুই কিশোর পলাতক।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা-বামনা সার্কেল) তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, ‘ভিক্টিমকে সুরক্ষা দিয়ে আমরা তাকে বিচার পেতে আইনি সহযোগিতা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করব।’