বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারে অনুমতি কেন সংবিধানবিরোধী নয়

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:২৮

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

অভিযোগপত্রের আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন করা থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টে এসব বিষয়ে নিয়ে রিটটি করেন কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যান। আদালতে তার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

আইনে আরও বলা হয়েছে, যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয় বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মচারী, তাহলে আদালত অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।

রিটকারীর আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে হেনস্তা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বাড়ি থেকে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যান জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরে সাংবাদিক আরিফুলের কাছে আধা বোতল মদ ও দেড় শ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে মধ্যরাতেই কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন। কিন্তু আসামিদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি একজনকে বরিশালে পদায়ন করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলা হয়, এসব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি লাগবে।

এসব বিষয়ে দেখে সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ও (৩)-এর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর