লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক আসামি।
গ্রেপ্তার আজাদ হোসেন কালুকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজাদ হোসেন কালুর বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার এসআই কেএম আব্দুল হক জানান, ২০১৬ সালে স্কুলছাত্রী কবিতা হত্যার পর লিবিয়ায় পালিয়ে যান আসামি আজাদ হোসেন কালু। শনিবার সকালে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় কালুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়টি জানতে পারেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ইমিগ্রেশন থেকে গৌরনদী মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে কালুকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, ওই মামলায় কালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। এরপরই সেই পরোয়ানা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় তার সন্ধানে। ঘটনার ৫ বছর পর কালু দেশে ফিরতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। এখন বাকি আইনি কার্যক্রম আদালতের নির্দেশে পরিচালিত হবে।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকালে গৌরনদীর সুন্দরদী এলাকার আয়নাল হকের মেয়ে কবিতা আক্তারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। টরকী বন্দর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কবিতা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার ধানডোবা গ্রামের আজাদ হোসেন কালুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই কবিতাকে তার প্রেমিক কালু হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা এবং মেয়েটির বাবা আইনুল হক বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এসব ঘটনার পর থেকেই কালুর কোনো সন্ধান মিলছিল না।