প্রতারণার অভিযোগ এনে ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
থানার উত্তর আউচপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামীম খান বৃহস্পতিবার এই মামলা করলেও শনিবার রাতে তা জানাজানি হয়।
শামীম পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী।
আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিস্তী, চেয়ারম্যান এম আলী ওরফে মোজতবা আলী, সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা দেবকর দে শুভ, নাজিম উদ্দিন আসিফ, হেড অব অ্যাকাউন্টস্ সাফোয়ান আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন, আসিফ চিশতী, সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয়।
মামলার বাদী বলেন, ‘গত ২০ মার্চ ধামাকা শপিং ডটকমের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেয়া হয়। অনলাইনে অফারটি দেখে আমি প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করি। যোগাযোগ করার পর আমাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুযায়ী আমি ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করি।
‘প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও আমার পণ্য সরবরাহ করেনি। ৫০ দিন পর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এক মাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার সই করা ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুটি চেক দেয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।
‘৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিও মামলার ৩ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখি অফিস তালাবদ্ধ।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের ১১ জনের বিরুদ্ধে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতারণার মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।