বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমেরিকার ফল অ্যাভোকাডো চাষে আগ্রহ বাড়ছে

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:০৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা ছাড়াও, ছাদবাগানেও অ্যাভোকাডো লাগানো সম্ভব। বাড়ির উঠানে বা ছাদে এক বা দুইটি চারা লাগালে, পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি আয় করা সম্ভব।

গাড় সবুজ রঙের ফলটি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের পেঁপের মতো। নাম অ্যাভোকাডো, মধ্য আমেরিকার এ ফল এখন দেশেই ফলছে। পুষ্টিগুণ ও উচ্চ মূল্য হওয়ায় অনেকে এখন আগ্রহী হয়েছেন অ্যাভোকাডো চাষে।

চাঁপাইনবাববগঞ্জের হর্টিকালচার সেন্টার, বিদেশি এ ফলের চারাকলম তৈরিসহ চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে।

সারা বিশ্বের শীর্ষ সারির কয়েকটি ফলের মধ্যে অ্যাভোকাডো অন্যতম। মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার স্থানীয় ফল হলেও, পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বব্যাপী চাহিদা রয়েছে এ ফলটির। বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা থাকায় বাংলাদেশেও অ্যাভোকাডোর চাষ দিন দিন বাড়ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহীন সালেহ উদ্দীনের মতে, অ্যাভোকাডো খেতে খুব স্বাদের না হলেও পুষ্টিগুণের কারণেই অনেকে ফলটি খান। দেশের বড় বড় সুপারশপে বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে এটি। এ ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে যারা ভালো জানেন বর্তমানে তারাই বেশি খুঁজছেন অ্যাভোকাডো।

বিদেশি ফল হওয়ায় একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয় অ্যাভোক্যাডোর। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটিতে এ ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সেন্টারের অ্যাভোকাডোর মাতৃগাছটির পরিচর্যার দায়িত্ব পালনকারী উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব।

তিনি বলেন, বিদেশি ফল হওয়ায় অ্যাভোকাডো গাছের পরিচর্যায় একটু বেশি মনোযোগী হতে হয়। তাহলে মিলে ফল।

অ্যাভোকাডো প্রায় এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। মাঝবয়সী একটি গাছ থেকে শতাধিক ফল পাওয়া সম্ভব। একেকটি ফল প্রায় ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে একটি গাছ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করা সম্ভব বলছেন গবেষকরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা ছাড়াও, ছাদবাগানেও অ্যাভোকাডো লাগানো সম্ভব। এ উদ্যানতত্ববিদের মতে, বাড়ির উঠানে বা ছাদে একটি বা দুইটি অ্যাভোকাডোর চারা লাগালে, পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি আয় করা সম্ভব।

অ্যাভোকাডো চাষে আগ্রহ বাড়ায়, বেড়েছে গাছের চারার চাহিদাও। চাঁপাইনবাবগঞ্জে হর্টিকালচার সেন্টারে এর চারাকলম তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে মানুষের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত চারা তারা সরবরাহ করতে পারছে না।

কারণ হিসেবে কেন্দ্রের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘অ্যাভোকাডো ফলে একটি বীজ থাকে। সেই বীজ থেকে চারা তৈরির পর, সেই চারাগাছে গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে চারাকলম তৈরি করা হয়।

‘এ প্রক্রিয়ায় বেশ সময় লেগে যায়, তারপরও সর্বোচ্চ সংখ্যক চারা উৎপাদনে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আগামী দুই এক বছরের মধ্যে আমাদের আরও কয়েকটি মাতৃগাছে ফল দেয়া শুরু হলে চারা তৈরি বাড়ানো সম্ভব হবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ফল আমদানি করা হয়। তবে বর্তমানে অ্যাভোকাডোসহ বিভিন্ন ফলের বাগান তৈরিতে অনেকের মধ্যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এতে করে অদূর ভবিষ্যতে ফল আমদানি নয়, বরং রপ্তানির কথা চিন্তা করবে বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর