ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরে এক যাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজন খুন হওয়ার পর এ ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঢাকা থেকে জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে গফরগাঁও স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া এলাকায়। তিনি সরিষাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাবরক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও জিআরপি ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় ধীরগতিতে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ ট্রেনের বাইরে থেকে একটি পাথর আনোয়ার হোসেনের কপালে এসে লাগে। এতে তার কপাল কেটে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘পাশের বস্তি এলাকা থেকে কেউ পাথরটি ছুড়ে মেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখন থেকে স্টেশন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।’
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, পাথরটি চোখে লাগলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এখন থেকে রেলওয়ে পুলিশ আরও সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ শহর অতিক্রম করার সময় রাত ৯টার দিকে ছাদে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হন।
নিহতরা হলেন নাহিদ মিয়া ও সাগর। তাদের দুজনের বাড়িই জামালপুর।
এ ঘটনায় নিহত সাগরের মা হনুফা বেগম শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ওই দিন রাত ৩টার দিকে নগরীর কেওয়াটখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুল মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত রুবেল মিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।