বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ল্যাব ধসে সেতু এখন মরণফাঁদ

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৫১

সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে রড চারদিকে ছড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবুও শিক্ষার্থীসহ সবাই চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। অসাবধানতায় পা পিছলে নিচে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত। তবুও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ৩৪ বছর আগের তৈরি একটি সেতুর মাঝখানের স্লাব ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমনভাবে স্ল্যাবটি ধসে পড়েছে, এখন সেতুটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, স্ল্যাব ধসে সেতুটি এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সেতুটি কেশরগঞ্জ থেকে গারোবাজারে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম। দুই পারের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র পথও এটি।

ধসের পর থেকে পথচারীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পার হলেও সেতুতে কোনো যানবাহন পার হতে পারছে না।

স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে সেতুর স্লাব ধসে পড়ে। ধসের ঘটনা দূর-দূরান্তের অনেকে জানতে না পারায় দুই পাশে দীর্ঘ যানবাহনের জট লাগে প্রতিদিন। উল্টো ও অন্য পথে ঘুরে যেতে তাদের তিনগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

জহুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধসে পড়া সেতু থেকে আধা কিলোমিটার সামনে আমার বাসা। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন তিনচাকার কয়েক শ যানবাহন চলাচল করে। অটোরিকশা দিয়ে ২০ টাকায় চলাচলের পথ এখন অন্য সড়ক দিয়ে ঘুরে যেতে ১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এতে অনেকে দীর্ঘ পথ হেঁটে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।’

সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে রড চারদিকে ছড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবুও শিক্ষার্থীসহ সবাই চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। অসাবধানতায় পা পিছলে নিচে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত। তবুও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে কেআর বাংলাদেশের অর্থায়নে ৯ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

প্রায় ৩৪ বছর আগের সেতুটির বিভিন্ন অংশ আরও এক বছর আগে থেকেই খসে পড়েছে। বর্তমানে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী থাকলেও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় আপদকালীন সময়েও সংস্কার করা যাচ্ছে না।

রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা বলেন, ‘সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা খুব জরুরি। কারণ এটি সংস্কার করলেও আবারও ধসের আশঙ্কা বেশি। সড়কটি এলজিইডির। তাই সেতুটি খুব দ্রুত প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করা প্রয়োজন।’

ফুলবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মুর্শেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে পড়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরইমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর