ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেটের মধ্যে মিলছে ১০০০, ৫০০ টাকাসহ নানা মূল্যমানের নোট। তবে এগুলো আসল টাকা নয়, নমুনা টাকা।
শিশুদের প্রলুব্ধ করে নিম্নমানের চিপস বিক্রি করতে অভিনব এ পন্থা নিয়েছে উপজেলার অননুমোদিত একাধিক প্রতিষ্ঠান। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে মিলছে এসব চিপস।
স্থানীয় লোকজন জানান, এসব কোম্পানির কোনো নাম নেই, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনও নেই। সাদা মোড়কে পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেট কিনলেই বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নমুনা ১০০০, ৫০০ ও ২০০ টাকার নোট পাওয়া যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, এই খেলনা টাকার লোভে শিশুরা পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দোকানে গিয়ে নিম্নমানের চিপসগুলো কিনছে। আবার অনেক শিশু পরিবারের কাউকে না জানিয়ে টাকা পেলেই দোকানে গিয়ে এই চিপস কিনছে।
উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে ঠিকানা ছাড়া সাদা পলিথিনে মোড়ানো গোলাকার এ চিপস বিক্রি করা হচ্ছে। শিশুরা দোকান থেকে সেই চিপস কিনে খেতে খেতেই বাড়ি ফিরছে।
ওই সময় তাদের হাতে দেখা যায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। সেগুলো দেখতে আসল টাকার মতো হলেও টাকার ডান পাশে ছোট অক্ষরে লেখা ‘খেলনা টাকার নমুনা’।
উপজেলা সদরের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদ বলে, ‘চিপসগুলো খেতে তেমন ভালো না। খেলনা টাকার জন্যই চিপস কিনি। প্রতিদিন ৪-৫ প্যাকেট চিপস কিনি। কয়েক দিনে অনেক টাকা জমিয়েছি।’
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিস কাজী বলেন, ‘আমাদের বাড়ির বাচ্চারা খেলনা টাকার নোটের লোভে খোলা প্যাকেটের এই চিপস কিনতে দোকানে যাচ্ছে বারবার। বারণ করলেও শুনতে চায় না। এটা খেয়ে বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হচ্ছে, গ্যাসের সমস্যাও হচ্ছে।’
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল গ্রামের মুদি দোকানি তৌয়েব আলী বলেন, ‘বোয়ালমারী উপজেলার একটি দোকান থেকে আমরা এই চিপস কিনি। কোম্পানির ঠিকানা বলতে পারব না।’
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী জানান, নাম-ঠিকানাহীন এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।