বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার কবরের সন্ধানে শম্পার বাবা

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:৩৫

শম্পার মরদেহ দাফন করেছিল আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। সংস্থাটির কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, ছয় বছর পরে কবরের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। বেওয়ারিশ কবর দীর্ঘদিন সংরক্ষণ ও চিহ্নিত করে রাখা হয় না। তবে কোন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে, তা মামলার নথি দেখে বের করা যাবে।

নিখোঁজ মেয়ের জন্য অপেক্ষার পালা শেষ। খুনের ছয় বছর পর বাবা জেনেছেন, মেয়ে শম্পা বেঁচে নেই। মরদেহ দাফন হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণী হিসেবে। সেই কবর চিহ্নিত করতে এখন ছুটছেন বাবা ইলিয়াস শেখ।

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে শম্পার হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে। গ্রেপ্তার করেছে তার কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপনকে। আসামির স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, শম্পাকে হত্যা ও মরদেহ গুমের নানা চেষ্টার তথ্য।

পিবিআই সদর দপ্তরে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার তুলে ধরেন শম্পা বেগমকে হত্যা ও তার কথিত স্বামী স্বপনকে গ্রেপ্তারের তথ্য।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ। ব্রিফিংয়ের সময় বড় পর্দায় মেয়ের ছবি দেখে ঢুকরে কেঁদে উঠেন তিনি।

পরে নিউজবাংলাকে তিনি জানান, ছয় বছর আগে মেয়ে নিখোঁজ হলেও আবার দেখা পাবেন, এমন আশায় ছিলেন এতদিন। গত বুধবার পিবিআই সদস্যরা তাকে জানান, শম্পা হত্যার শিকার হয়েছেন। এখন মেয়েকে জীবিত দেখার আশা ছেড়ে মরদেহ বা কবরের চিহ্নটুকু খুঁজতে খুলনা থেকে তিনি ছুটে এসেছেন ঢাকায়।

পিবিআই জানায়, শম্পা চট্টগ্রামে হত্যার শিকার হলেও অজ্ঞাত তরুণী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার হয় ঢাকায়। এরপর ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে দাফনের কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে খুনের শিকার হন খুলনা দৌলতপুরের তরুণী শম্পা বেগম। কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপন তাকে হত্যার পর মরদেহ ট্রাঙ্কবন্দি করে একটি বাসে তুলে দেন। যা ঢাকার গাবতলীতে উদ্ধার হয়।

হত্যার আগের রাতে মোবাইল ফোনে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল শম্পার। পরদিন খুলনায় যাবেন বলে বাবাকে জানান। তারপর থেকে অপেক্ষায় বাবা ইলিয়াস শেখ।

মেয়ের মরদেহ দেখার জন্য ইলিয়াসের শেষ ইচ্ছা এখন পূরণ হবার নয় বলেই জানান মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। যেখানে শম্পাকে দাফন করা হয়েছিল, সেই চিহ্নটুকু এখন খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারণ, অজ্ঞাত পরিচয়ের কবর দীর্ঘদিন চিহ্নিত করে রাখার ব্যবস্থা নেই। তবে যে করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে, যারা ব্যবস্থাপনা করেছেন তাদের কাছে শুধুমাত্র নথি পাওয়া যেতে পারে।

মরদেহ দাফন করেছিল আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। সংস্থাটির কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, ‘ছয় বছর পরে কবরের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। বেওয়ারিশ কবর দীর্ঘদিন সংরক্ষণ ও চিহ্নিত করে রাখা হয় না। তবে কোন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে, তা মামলার নথি দেখে বের করা যাবে।

‘কবরের জায়গায় মরদেহের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে জুরাইন কবরস্থানে মাটি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে দাফন হলে তো কিছুই করার থাকবে না। অন্য কবরস্থানে হলেও দাফনের তিন মাস পরই মরদেহ পাওয়া যায় না। নথি যাচাই করে শম্পার মরদেহ সম্পর্কে যতোটুকু জানা যায় তা তার বাবাকে বলা যাবে।’

আলোচিত মামলাটির তদন্ত হয়েছে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের তত্বাবধানে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও অন্যতম লক্ষ্য ছিল তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা। এরপর ছিল আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের বিষয়। এ দুটিই আমাদের কর্মকর্তারা সফলভাবে করতে পেরেছেন। এখন মামলার স্বার্থেই যাচাই করা হবে কবর কোথায় হয়েছিল, সেই তথ্য।’

এ বিভাগের আরো খবর