করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য খাতে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে সরকারের পাশাপাশি অংশীজনদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এ খাতে বাড়াতে হবে জনবল। না হলে অর্জিত হবে না কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
এসব কথা উঠে এসেছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত জাতীয় সংলাপে।
রাজধানীতে শনিবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তারা জানান, সরকারের বর্তমান মেয়াদে তিনটি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনও তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। ‘স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ২০১৮-এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে অগ্রগতি’ শিরোনামে জাতীয় সংলাপ আয়োজিত হয়।
এ লক্ষ্য পূরণ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় জানিয়ে বক্তারা জানান, সরকারের বাইরে থাকা অংশীজনদেরও সরকারের পরিপূরক ভূমিকা রাখতে হবে।
মূল নিবন্ধে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা বুঝতে কেবল বাজেট বরাদ্দ নিয়ে বিশ্লেষণ করার চেয়ে, ওই বরাদ্দ দিয়ে কী কী লক্ষ্য অর্জন করার চেষ্টা হচ্ছে তাও বিবেচনায় নেয়া দরকার।’
এ জন্য সরকারের মধ্যম মেয়াদি বাজেট কাঠামোতে পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর যুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হক বলেন যে, ‘জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে হলে স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া দরকার।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য শামীম হায়দার বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া দ্রুত ও সহজলভ্য সেবা সকলের জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
আওয়ামী লীগ সরকার তার নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন সরকার দলীয় হুইপ সাঈদ আল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই করোনাকালেও সে লক্ষ্যে সরকারের বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলো কাজ করে যাচ্ছে।’
আলোচক হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনদের পাশাপাশি অংশ নেন সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, সংসদ সদস্য ড. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনও আলোচনায় অংশ নেন।