চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ওই কিশোরীর বাড়িতে শনিবার বিয়ের আয়োজন চলছিল। বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সেখানে যায় পুলিশ।
পরে শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে তাকে ফের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। মেয়েটির লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলমডাঙ্গার এক যুবকের। শনিবার সকাল থেকেই মেয়ের বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। দুপুরে সব আয়োজন শেষে অপেক্ষা ছিল শুধু বর আসার। সেই সময়ই সেখানে পৌঁছান তারা।
ওসি বলেন, ‘বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষকসহ দুপুরে আমরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। মেয়ের অভিভাবককে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বলা হয়।
‘তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। পরে আমরা মেয়েটির পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবেই মেয়েটির দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধও করে দেয়া হয়। তার যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
পুলিশ যাওয়ার তথ্য পেয়ে বর আর আসেননি জানিয়ে ওসি বলেন, মূলত আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।
পুলিশের সঙ্গে ওই কিশোরীর বাড়িতে যান সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নু আলী, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার।