সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হাজং গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পাল্টে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা আলফাত স্কয়ারে শনিবার দুপুর ১২টায় সংগঠনটির মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন বক্তারা। স্বাস্থ্য প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।
মানববন্ধনে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও সুধীজন সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিক ঘটনার দিন ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য না পাঠিয়ে পরদিন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান। না জানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার আগেই ওই নারী গোসল করায় এবং বৃষ্টির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় আলামত নষ্ট হয়েছে। এসব কারণে স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত মেলেনি।
আসামিকে বাঁচাতেও প্রতিবেদন পাল্টে দেয়া হতে পারে বলে অভিযোগ করেন তারা।
আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক এন্ড্রু সলোমার জানান, গত ১৪ আগস্ট বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের ছড়ায় গোসল করার সময় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় ওই দিনই আসামি আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরদিন তাহিরপুর পুলিশ ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। গত ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে ধর্ষকের শাস্তির দাবি জানাই।’
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কমরেড চিত্তরঞ্জন তালুকদার, মহিলা পরিষদ সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য, কৃষক আন্দোলনের নেতা নির্মল ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব চঞ্চনা চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি টনি চিরান, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জিতেন্দ্র হাজং ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ হাজং।