কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
কুমিল্লা স্টেশনে শনিবার সকালে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘একসময় রেলকে ধ্বংস করা হয়েছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত রেলে পুনরায় গতি ফিরিয়ে আনেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান। সিঙ্গেল লাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। নতুন নতুন ব্রিজ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের যেসব এলাকায় রেল সংযোগ নেই সেখানে সংযোগ দেয়া হচ্ছে।’
সুজন বলেন, কক্সবাজারে নতুন রেললাইন চালু হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যেটি ২০২৪ সালে চালু হবে।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত করা হচ্ছে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে রেলের উন্নয়নে।’
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে নতুন ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ দ্বিতীয় রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান ৭২ কিলোমিটার মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরের কাজ চলছে। এর মধ্যে লাকসাম-কুমিল্লা সেকশনের ২৪ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশ যত উন্নত, সে দেশের রেল যোগাযোগ তত উন্নত। একটা ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী রেল খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।
‘আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পরবর্তী সময়ে ব্রডগেজ করা হবে। ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাটাই ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে।’
ওই সময় নিরাপদ যাত্রার অংশ হিসেবে ট্রেনে ঢিল ছোড়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একটি নিরাপদ রেল ভ্রমণকে অনিরাপদ করে তুলছে কিছু দুষ্কৃতকারী। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
রেলের উন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে ১২৫টি লাগেজভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে কৃষকরা তাদের পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে সরবরাহ করতে পারবে।’