বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসামিকে ফেসবুক লাইভে এনে জিজ্ঞাসাবাদ

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯

ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এগুলো করিনি। আসামি যখন আমাদের বিবরণ বলেছিল প্রমাণের জন্য তা ভিডিও করা হয়। কিন্তু এ ভিডিও লাইভে কীভাবে গেল সেটা আমি জানি না। আমি এসব কিছু করিনি।’

থানায় হত্যা মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও লাইভ প্রচার হয়েছে ফেসবুকে। সেই ভিডিও ছড়ালে ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তীব্র নিন্দা জানিয়ে কেউ কেউ বলছেন, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দাবি, তিনি জানেন না কীভাবে সেটি লাইভ হলো।

সুনামগঞ্জ ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের রুমে ধারণ করা ভিডিওটি ‘ছাতক টু সুনামগঞ্জ’ নামক ফেসবুকভিত্তিক একটি পেইজে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে লাইভ করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আসামি আবু সুফিয়ান সোহাগকে গবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ও থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ওসি নাজিম উদ্দিন। ভিডিওটি ভাইরাল হলে ১ ঘণ্টা পর সেটি পেইজ থেকে ডিলেট করে দেয়া হয়।

সুনামগঞ্জের আইনজীবী অলক বাপ্পা বলেন, ‘মামলা চলাকালে এভাবে যদি ওসি সাহেব লাইভে আসামি নিয়ে দুনিয়ার মানুষকে জানান তাহলে আদালত কেন? ক্লুলেস মামলার তদন্ত কার্যক্রমে জড়িত আসামিকে এভাবে ভিডিওতে নিয়ে আসা ঠিক হয়নি। পুলিশের কার্যক্রম নিরপেক্ষ রাখতে আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’

সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘এত বছর সাংবাদিকতা করলাম; হত্যা মামলায় পুলিশরে কইতে শুনলাম চার্জশিট দাখিলের পর বিস্তারিত বলা হবে।

‘এখানে নামে বেনামে একটি ফেসবুকে পেজে আসামি হত্যার বর্ণনা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ওসি সাহেব আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি স্পষ্ট।’

যে পেজ থেকে লাইভ হয়েছে সেই পেজের ফয়ছল আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব। এখন ব্যস্ত আছি।’

ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এগুলো করিনি। আসামি যখন আমাদের বিবরণ বলেছিল প্রমাণের জন্য তা ভিডিও করা হয়। কিন্তু এ ভিডিও লাইভে কীভাবে গেল সেটা আমি জানি না। আমি এসব কিছু করিনি।’

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে এমন ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

উপজেলার গবিন্দবাজারে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ব্যবসায়ী আখলাকুর রহমান ওরফে আখলাদকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যার ঘটনায় একই ইউনিয়নের গবিন্দনগর গ্রামের আবু সুফিয়ান সোহাগ ও বিশ্বনাথ উপজেলার দিঘলী-চাকলপাড়া গ্রামের আলীম উদ্দিনকে বাড়ি থেকে বুধবার রাতেই আটক করে পুলিশ।

আসামিরা আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর