জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে ছুরিকাঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় একজনকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত সাগরের মা হনুফা বেগম।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান।
তিনি জানান, ওই ব্যক্তিকে জেলার কেওয়াটখালি এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে আটক করা হয়। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ শহর অতিক্রম করার সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ছাদে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
তারা হলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী মিতালী বাজার এলাকার নাহিদ ও জামালপুর শহরের বাগেড়হাটা বটতলা এলাকার সাগর।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. ফারুক নামে একজন বলেন, ‘টঙ্গী থেকে ট্রেনের ছাদে উঠি। গফরগাঁওয়ে আসার পর আমাদের ২০ থেকে ২৫ জনের সব মাল নিয়ে নেয় সাতজন। ওদের হাতে ছুরি ছিল। তাই আমি সব দিয়ে দিছি।’
এ ঘটনায় আহত যাত্রী রুবেল বলেন, ‘ট্রেনটি গফরগাঁওয়ে পৌঁছালে সাতজন ছুরির ভয় দেখিয়ে ট্রেনের সামনে থেকে ডাকাতি করা শুরু করে। পরে ময়মনসিংহ আসার পর আমি, নাহিদ ও সাগরসহ কয়েকজন যাত্রী মিলে মালামার ফেরত চাইলে ডাকাতরা আমাদেরকে মারধর করে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আর কিছু জানিনা।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, কিছু দুষ্কৃতকারীর আক্রমণের আঘাতেই দুজন মারা যায়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
সাগরের বাবা হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পুলা ওর বড় বোনকে ঢাকা রাখতে গেছিল। আমরা জানতাম না যে এই ঘটনা ঘটছে। রাতে বাড়িতে আয় নাই। সারা রাত আমরা পুলারে খুঁজছি।
‘সকালে একজনের মুখে শুইনে আইসে দেখি আমার পুলার লাশ পইড়ে আছে। আমরা এডের বিচার চাই। আমার পুলার দুইডে সন্তান আছে। এহন ওদের কে দেখব।’