বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ বছর পর চালু হচ্ছে সিলেটের সেই শিশু পার্ক

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:২৫

সব কাজ শেষ হলেও এত দিন নামকরণ জটিলতায় আটকে যায় এই পার্কের উদ্বোধন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ‘এম সাইফুর রহমান শিশু পার্ক’, ‘সিলেট ন্যাচারাল পার্ক’, ‘দক্ষিণ সুরমা শিশু পার্ক’- এ রকম বিভিন্ন নামে পার্কটির নামকরণের উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক নামে নামকরণ করে পার্কটি চালু হচ্ছে।

নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৫ বছর আগে। এরপর নামকরণ জটিলতা আর রাজনৈতিক মতভেদে আটকে যায় পার্কটির উদ্বোধন।অবশেষে শনিবার চালু হতে যাচ্ছে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত সিলেটের প্রথম এই শিশু পার্ক। নানা জটিলতা পেরিয়ে পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’।নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে নির্মিত এই পার্কটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। নির্ধারিত ফি দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই পার্কটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।সব কাজ শেষ হলেও এত দিন নামকরণ জটিলতায় আটকে যায় এই পার্কের উদ্বোধন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ‘এম সাইফুর রহমান শিশু পার্ক’, ‘সিলেট ন্যাচারাল পার্ক’, ‘দক্ষিণ সুরমা শিশু পার্ক’- এ রকম বিভিন্ন নামে পার্কটির নামকরণের উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক নামে নামকরণ করে পার্কটি চালু হচ্ছে।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে সবশেষ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে করপোরেশন।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই শিশু পার্কের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বিভিন্ন ধরনের রাইডও বসানো হয়েছে। কিন্তু সব কাজ শেষেও নামকরণ জটিলতায় চালু করা যায়নি পার্কটি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখায় নষ্ট হয়ে পড়ে রাইডগুলো। চুরি হয়ে যায় ট্রান্সমিটারসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি।জানা যায়, ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের উদ্যোগে এই পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপনসহ পার্কের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়। তখন পার্কটির নামকরণ এম সাইফুর রহমানের নামে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছাড়লে বন্ধ হয়ে যায় পার্কটির কাজ। অভিযোগ রয়েছে, সাইফুর রহমানের নাম থাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র এই পার্ক চালু করতে কোনো উদ্যোগ নেননি।

এরপর ২০১৩ সালে বিএনপিদলীয় নেতা ও সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই পার্ক চালুর ব্যাপারে আবার উদ্যোগ নেন। ২০১৭ সালে পার্কে বিভিন্ন রাইড বসানোর কাজ শুরু হয়। চীন থেকে এনে বিভিন্ন আধুনিক রাইড বসানো, বিদ্যুৎসংযোগ চালুসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয় তখন। তবে এরপর থেকেই দেখা দেয় নামকরণ জটিলতা।সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) একটি সূত্রে জানা যায়, সাইফুর রহমানের নামে পার্কটি নামকরণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালে এতে রাজি হয়নি মন্ত্রণালয়। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে পার্কটি শেখ হাসিনার নামে নামকরণের দাবি জানানো হয়। এরপর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ‘সিলেট ন্যাচারাল পার্ক’, ‘দক্ষিণ সুরমা পার্ক’ নামে নামকরণের চেষ্টা চালানো হয়। এতে সফল না হওয়ায় আটকে যায় পার্ক চালুর উদ্যোগ। তবে শেষ পর্যন্ত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’ নামেই এই পার্কের নামকরণ করা হয়েছে।এর আগে ২০১৭ সালে পার্কে রাইড বসানোর কাজ শুরুর পর ৬ মাসের ভেতর পার্কটি চালু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল করপোরেশন। তবে রাইডগুলো বসানোর পর আরও ৪ বছর অতিক্রম হলেও শিশু পার্কটি চালু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন।

এ বিভাগের আরো খবর