লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের বিরুদ্ধে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা (বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তাদের) ভাতার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ভাতাভোগীদের অভিযোগ, সমাজসেবা কার্যালয়ে বিকাশ নম্বরসহ যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা আমলে না নিয়ে নিজেদের মনগড়া তালিকায় টাকা পাঠানো হচ্ছে।
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। তারা বলছে, বিকাশ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এ ভোগান্তির সৃষ্টি, যা শিগগিরই সমাধান হবে।
উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের নিখিল চন্দ্র, ছকমল হোসেন ও হেনা বেগম সমাজসেবা অফিসের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডধারী। দীর্ঘদিন তারা সরকারি ভাতায় জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না।
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ছকমল হোসেন জানান, আগে সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা তুলতেন। তবে যখন থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেয়া শুরু হয়, তখন থেকে তার টাকা আসা বন্ধ রয়েছে। অন্য নম্বরে চলে যাচ্ছে টাকা। যাদের টাকা আসছে তাদের অনেকের নম্বরে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম টাকা দেয়া হচ্ছে।
ভাতা না পাওয়ার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনকে দায়ী করছেন সারপুকুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সায়েদ আলী। তার দাবি, ভাতা বইয়ে দেয়া বিকাশ নম্বর পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, যার ফলে টাকা পাচ্ছেন না ভাতাভোগীরা।
একই অভিযোগ সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘বিকাশ নম্বরসহ যে তালিকা আমরা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দিয়েছি সে তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা তাদের মনগড়া নম্বর বসিয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রওশন আলী মণ্ডল জানান, সময় স্বল্পতার কারণে ভাতাভোগীদের বিকাশ নম্বর যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই উপজেলায় ২৮ হাজার ৯৯৯ জন ভাতাভোগী আছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৫৮ জনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।