বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আফগানের উন্নয়নে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আফগানিস্তানের বিনির্মাণ এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ আফগানিস্তানের জনগণের ওপরই নির্ভর করে।’

আফগানিস্তানের উন্নয়নে দেশটির জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে প্রস্তুত বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে নিজের ভাষণে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বছরের এপ্রিলে আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের ইতি টেনে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা ফেরত নেয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই ঘোষণার পর থেকে উজ্জীবিত তালেবানরা। একের পর এক দখলে নিতে শুরু করে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ।

সবশেষ গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে কট্টর ইসলামপন্থি দলটি। তবে সরকার গঠনে সময় নিচ্ছিল তালেবান। সেই অপেক্ষার অবসান হয় ৭ সেপ্টেম্বর।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের কথা জানিয়ে নারীসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে জানায় তালেবান। কিন্তু পাল্টে যায় সুর। জানায়, এককভাবেই সরকার গঠন করবে তারা। রাখা হবে না কোনো নারী নেতৃত্বও। অন্তবর্তী সরকারেও তাই দেখা গেল।

দীর্ঘ যুদ্ধে দেশের ভগ্নদশা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পর্ক স্থাপন করাকে তালেবান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সরকার গঠনের পরদিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো অনুমোদন না দিলে আফগানিস্তানে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশও স্বীকৃতি দেবে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানের উন্নয়নে জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্যোগ নিলে সে বিষয়ে সমর্থন দেবে বাংলাদেশ।’

তার ঠিক এক দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ভারত কিংবা পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান আমাদের সার্কের সদস্য। তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে, কিন্তু গত টার্মে আমরা দেখেছি আমাদের দেশের অনেক মানুষ সেখানে গিয়ে সন্ত্রাসে অংশ নিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স। কোনোভাবেই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না।’

মোমেন জানান, আফগানিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশ এখন পর্যবেক্ষণে আছে। সে দেশের জনগণ যে সরকার গঠন করবে, ঢাকাও সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে।

তার দুই সপ্তাহ পর জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেশটির জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যেতে বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত।’

তবে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আফগানিস্তানের ভাগ্যও দেশটির জনগণের হাতে বলেও নিজের মত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আফগানিস্তানের বিনির্মাণ এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ আফগানিস্তানের জনগণের ওপরই নির্ভর করে।’

এ বিভাগের আরো খবর