চট্টগ্রামের মানুষ যদি সিআরবিতে স্থাপনা না চায় তবে জোর করে চাপিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিআরবি নিয়ে যা হচ্ছে, এতটা করার কোনো অর্থ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণের জন্যই সব সময় কাজ করে আসছেন। সিআরবি হাসপাতাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা সবার জন্য শিরোধার্য।’
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে তথ্যগত কোনো ভুল হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল করা নিয়ে কয়েক দিন আগে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু তার আগেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেখেছি।
‘কিন্তু কী নিয়ে আন্দোলন তা আনুষ্ঠানিকভাবে রেলওয়েকে জানানো হয়নি। এমনকি মন্ত্রী, সচিব বা রেলের ডিজির কাছেও কোনো আবেদন করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কোনো দরখাস্ত দেয়া হয়নি। দরখাস্ত বা অভিযোগ দেয়ার পর যদি জোর করে কোনো কিছু হয়, তাহলে আন্দোলনের প্রশ্ন আসবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪ সাল থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তখন কেউ আপত্তি তোলেনি। যখন হাসপাতাল নির্মাণ বাস্তবায়ন পর্যায়ে আসছে তখন আপত্তিগুলো আসছে। আপত্তির কারণটা আগে আমাদের জানাবেন। এখানে তো হাসপাতাল হচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে।’
আন্দেলনকারীদের উদ্দেশ্য আসলে কী তা খতিয়ে দেখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ আছে, তাদের কোনো কাজই ভালো লাগে না। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই আন্দোলন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।’