বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাশ থাকুক আর না থাকুক, চন্দ্রিমায় কবর নয়: মন্ত্রী

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৪০

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চদ্রিমা উদ্যানে লাশ থাকুক আর না থাকুক কারও কবর এখানে থাকতে পারবে না।… বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর মহান জাতীয় সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না।’

চন্দ্রিমা উদ্যানে কোনো কবর থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এমন কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে লাশ থাকুক আর না থাকুক কারও কবর এখানে থাকতে পারবে না।… বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর মহান জাতীয় সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে তার মরদেহ নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখার পর এই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখছেন।

এর মধ্যে সরকারের পুরনো একটি পরিকল্পনা সামনে এসেছে। জাতীয় সংসদ ভবন প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশায় ফেরানো।

এই নকশায় কোনো সমাধিস্থল ছিল না। আর এটি করতে হলে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনও সরাতে হবে।

জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ছাড়াও স্বাধীনতাবিরোধী নেতা খান এ সবুর এবং আরও একজন অজানা মানুষের কবর রয়েছে। এগুলো সরানোর দাবিও আছে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তার কবর থাকবে টুঙ্গিপাড়ায় আর পাকিস্তানিদের দোসর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ৩০ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে, তাদের কবর জাতীয় সংসদসহ গৌরবোজ্জ্বল জায়গায় থাকতে পারে না। এগুলো আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।’

জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতার খুনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ কথা ধ্রুব সত্য। তাকে খুনি প্রমাণ করার জন্য সকল ধরনের দলিলাদি রয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব নিশ্চিত করার কথা ছিল জিয়াউর রহমানের। কিন্তু তিনি তা না করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তখনই বাস্তবায়ন করতে পারব যখন এসব কুলাঙ্গারদের কবর জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থান থেকে অপসারণ করতে পারব।’

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা অবান্তর বলে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম। বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার অধিকার বাঙালি জাতি একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছে। আর কেউ স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না, সুযোগও নেই। মুখে ঘোষণা করলেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়া যায় না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াসার যদি কোন রকম অব্যবস্থাপনা থাকে, যদি সেখানে কোনো দুর্নীতি থাকে, তাহলে এটা আমরা চিহ্নিত করব। তাদের দুর্নীতির তথ্য থাকলে দেন, হাইপোথেটিক্যাল তথ্য দিয়ে তো লাভ হবে না।’

ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তর করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শহরের প্রত্যেকটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। খালের দুই পাড়ে বাঁধ দিয়ে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা খালগুলো শিগগির সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের আতিকুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক মফিজুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর