বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মার ভাঙন, স্কুল মুহূর্তে বিলীন

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৫০

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপনির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, ‘চর সিলিমপুরে হঠাৎ ভাঙনে স্কুলসহ সিসি ব্লকের ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা সকাল থেকেই ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্কুলসহ ১০০ মিটার এলাকা মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ঝুঁকিতে রয়েছে পদ্মাপাড়ের শতাধিক স্থাপনা। এর মধ্যে বসতভিটা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে স্কুল ও মসজিদ।

জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চর সিলিমপুর গ্রাম। গ্রামের শিশুদের লেখাপড়ার একমাত্র ভরসা চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাও নদীতে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় সিরাজ ফকির বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। স্কুল নদীতে চলে গেছে। আমাগো বাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কখন নদীতে ভেঙে যায়।’

৬০ বছর বয়সি রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমার সব শেষ অইয়া যাইবো এইবার। এর আগে আরও দুইবার বাড়ি সরাইয়ে এহানে আয়ছিলাম। এইবারও মনে অয় চইলা যাবি গাংগে। আমার তো ছোট্ট একটা ঘর ছাড়া কিচ্ছুই নাই। আমি কনে যাবো।’

চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রনি জানায়, তার বাড়ি এই স্কুলের পাশেই। সে এই স্কুলে পড়ত। এখন সে কোথায় পড়বে। তার বাড়িটাও আছে ভাঙন ঝুঁকিতে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্কুল নদীতে চলে গেছে। আমি এখন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এই স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১০৮ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।’

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপনির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, ‘চর সিলিমপুরে হঠাৎ ভাঙনে স্কুলসহ সিসি ব্লকের ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা সকাল থেকেই ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর