বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শনাক্তের হার আরও কমে ৪.৫, মৃত্যু ৩১

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৩২

দেশের ৮১৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর চেয়ে কম শনাক্ত ছিল গত ৭ মার্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ২৩৩ জনের দেহে। কমেছে শনাক্তের হারও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৬৮ জনের।

দেশের ৮১৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর চেয়ে কম শনাক্ত ছিল গত ৭ মার্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ নিয়ে টানা চার দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।

গত মঙ্গলবার থেকে দেশে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামতে থাকে। মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বুধবার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও বৃহস্পতিবার ছিল ৪ দশমিক ৬১।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ১৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬, ষাটোর্ধ্ব ৯ ও সত্তরোর্ধ্ব ৮ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রামে ৮, রাজশাহীতে ২, রংপুরে ২, খুলনায় ১, সিলেটে ১ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৪১৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৯ হাজার ৫০৯ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩।

দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সে বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে।

মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।

চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর