বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪০ লাখ টাকার সেতু, ব্যবহার শুধু সেলফি তোলায়

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৩৪

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি সেতুটি পরিদর্শন করেছি। সেতুটি আসলে পাশের মূল রাস্তায় হওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত জমির মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানো হবে।’

ঠাকুরগাঁওয়ে ধানক্ষেতের মাঝে নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। এরপর তিন বছরেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারেনি স্থানীয়রা।

তবে সবুজের মাঝে নির্মিত সেতুটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই এখানে ছবি তোলেন। এজন্য স্থানীয়রা সেতুটির নাম দিয়েছেন ‘সেলফি ব্রিজ’।

উপজেলার বড় পলাশবাড়ি গড়িয়ালি গ্রামের সেতুটির বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিআরডি) জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুটি মূল সড়কে না হয়ে ভুলবশত ফসলি জমির মাঝখানে করা হয়েছে।

গড়িয়ালি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির দুই পাশ কাঁচা রাস্তা থেকে বেশ উঁচু হওয়ায় যান চলাচল সম্ভব নয়। হেঁটে যাতায়াতও কষ্টসাধ্য।

অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ এবং সংযোগ সড়ক না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গ্রামের খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে পাকা রাস্তা আছে সেখানে সেতু না হয়ে এই জমিতে কেন হইল তা জানি না। এই সেতুটা আমাদের কোনো কাজে আসে না, বরং সেতুর দুপাশে গর্ত হয়ে ফসলের জমি নষ্ট হইছে।’

বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এমন জায়গায় সেতুটি নির্মাণ হয়েছে যে জনগণের কোনো কাজেই আসছে না। এখন পাকা সড়ক করে সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক হলে এটি জনগণের উপকারে আসবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

তিন বছরেও সেতুটির কোনো গতি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি সেতুটি পরিদর্শন করেছি। সেতুটি আসলে পাশের মূল রাস্তায় হওয়ার কথা ছিল। ভুল করে জমির মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।’

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমার যোগদানের আগেই সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। আর এতে মানুষ চলাচল করতে না পারার বিষয়টিও আমার জানা নেই। সেতুটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর