বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আহমদ রফিকের পাশে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৩৫

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিককে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আহমদ রফিক একাধারে বরেণ্য ভাষাসংগ্রামী, বুদ্ধিজীবী, লেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি আমাদের মহান মনীষী। ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ রফিকের চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তাকে অনুদানের চেক পৌঁছে দেয়া হয়।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভাষাসৈনিক আহমেদ রফিককে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আহমদ রফিক একাধারে বরেণ্য ভাষাসংগ্রামী, বুদ্ধিজীবী, লেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি আমাদের মহান মনীষী। ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

‘সৃষ্টিশীল লেখা ও গবেষণা ছাড়াও তিনি জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আহমদ রফিকের পাশে আছে। ভবিষ্যতেও তার সুচিকিৎসাসহ যেকোনো সহায়তার প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।’

চিকিৎসার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুদানের চেক ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ রফিকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা

গত ২০ মার্চ নিজ বাসায় পড়ে গিয়ে আহত হন ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিক। ৯২ বছর বয়সী লেখককে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আহমদ রফিক ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ তার চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেলেও ইন্টার্ন করার কোনো সুযোগ তিনি পাননি। এ কারণে চিকিৎসার বদলে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৫ সালে একুশে পদক পান আহমদ রফিক। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ এবং ১৯৭৯ সালে ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ‘রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য’ উপাধি পান।

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের স্ত্রী-সন্তান নেই। স্বজনদের মধ্যে ভাইয়েরা সবাই মারা গেছেন। একজন ভাগনে থাকলেও তিনি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

এ বিভাগের আরো খবর