ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী একটি কমিউটার ট্রেনে ডাকাতির ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জামালপুর রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছেড়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী মিতালী বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. নাহিদ। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রেনের ছাদে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনের ছাদে ওঠে জামালপুরে আসছিলেন। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীদের অনেকেই ডাকাতির কবলে পড়েন।
তিনি জানান, চার-পাঁচজনের ডাকাত দলটি অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়। এরপর ট্রেনটি রাত পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফারুক ও নাহিদসহ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে যান।
ফারুক জানান, ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে যাত্রী নাহিদ, রুবেল ও অজ্ঞাতপরিচয়ের একজনসহ তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।
নিহত নাহিদের স্ত্রী বিপাশা নিউজবাংলাকে জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। জয়দেবপুর স্টেশনে অনেক ভিড় থাকায় নাহিদ তাদেরকে ট্রেনে তুলে দিয়ে নিজে ছাদে উঠেন। ময়মনসিংহ স্টেশন পার হওয়ার পর নাহিদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অন্য যাত্রীদের মুখে ট্রেনের ছাদে ডাকাতির খবর পান।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে গুরুতর আহত তিনযাত্রীকে ছাদ থেকে নামিয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নাহিদ ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত অপর যাত্রী রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জামালপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রী রুবেলের মতে, ট্রেনের ছাদে তারা ডাকাত দল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’