বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬৭ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি: গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:০৭

২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করে এই ফাঁকি উদঘাটন করা হয়। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে ৩৪ হাজার ৯১০ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির দেয়ার কথা ছিল ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা। উৎসে ভ্যাট বাবদ ৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু দেয়ার কথা ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি টাকর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি উদঘাটন করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।

তিনি জানান, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করে এই ফাঁকি উদঘাটন করে।

তবে এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

গ্রামীণ ব্যাংক একটি নন-ব্যাকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে না। নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির কোনো ভ্যাট নিবন্ধন নেই, যা ভ্যাট আইনের পরিপন্থি।

রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর হতেই ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। কিন্তু ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেনি।

এনবিআর বলেছে, গ্রামীণ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হিসেবে সেবার বিপরীতে কমিশন, ফি বা চার্জ গ্রহণ করে থাকে। যে কারণে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক।

গ্রামীণ ব্যাংক মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে। এসব ঋণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে চার্জ, ফি ও কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য।

ভ্যাট গোয়েন্দারা বলেছেন, তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন এবং অন্যান্য দলিল যাচাই করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য আমলে নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত চলাকালে সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে ৩৪ হাজার ৯১০ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির দেয়ার কথা ছিল ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯০ টাকা।

যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় জরিমানা দাঁড়ায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন খরচের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট বাবদ ৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু দেয়ার কথা ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

এ ক্ষেত্রে অপরিশোধিত ভ্যাট ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যথাসময়ে পরিশোধ না করায় জরিমানা হিসেবে আসে ৭ কোটি ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৭ টাকা।

অর্থাৎ সব মিলিয়ে অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৬ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ২১ কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার ৬৮৩ টাকা।

এ টাকা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে আদায়যোগ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর