ফরিদপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের সিসি ব্লকে ধস দেখা দেয়া দিয়েছে। বাঁধ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী পাড়ের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার শঙ্কায় আতঙ্কে আছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত তিন দিনের ভাঙনে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের কয়েকটি স্থানে প্রায় ১০০ মিটার সি সি ব্লক ধসে গেছে।
পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস শুরু হলে বিষয়টি স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানান। পরে পানি উন্নয়ন বোডের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শনে আসেন। হঠাৎ করে ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় পাউবো জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর স্বাভাবিকতা না থাকায় প্রতি বছরই বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। শুধু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়। ভাঙন প্রতিরোধ স্থায়ী পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ডিক্রীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, ‘নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের গভীরতা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীর অপর পাড়ের ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো নদী থেকে জেগে উঠা বালু চর। এখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে কোনো লাভ হবে না। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’