বরগুনার আমতলীতে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাহিদ হাসান বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন।
নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের আদালতে তোলার পর জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মে রাত ৮টার দিকে আজাদ ও হাসান মৃধা নামের দুই ব্যক্তি ঠিকাদারির কাজে উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এক পর্যায়ে তাদের শারিকখালী খাল পাড়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা আজাদ ও হাসানকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ১২ জুন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম ওসমানী হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ।
আইনজীবী আরিফুল হাসান জানান, ২৬ আগস্ট ১২ আসামি উচ্চ আদালত থেকে ২৮ দিনের আগাম জামিন নেন। পরে বাদীপক্ষ সুপ্রীম কোর্টে আগাম জামিনের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করলে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতের চেম্বার বিচারক জামিনের মেয়াদ কমিয়ে ১৪ দিন ঠিক করেন।
মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার আসামিরা ফের জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজাদের মামা ও আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘চাঁদা না দেয়ায় আসামিরা আমার ভাগনেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। আমি ন্যায় বিচার চাই। ’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা। আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে তিনি জানান, আমতলীর মেয়রের ভাগনে আজাদ রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ঘটনার দিন তিনি আমতলী মাতৃছায়া কাপড়ের দোকানে ছিলেন বলেও দাবি করেন।