স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য অবান্তর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ নেতা।
কাদের বলেন, ‘তিনি (মাহবুব তালুকদার) নির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহের কথা বলেন। অথচ এই করোনার মধ্যেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল নির্বাচন কমিশনের হিসাবে শতকরা ৬৯ ভাগ। কাজেই তার এই বক্তব্য অবান্তর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তা না হলে তিনি একটি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কী করে এ ধরনের অবান্তর বক্তব্য দেন?’
‘সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে আমার কথা’ শিরোনামে বুধবার লিখিত বক্তব্যে নিজের মত তুলে ধরেন মাহবুব তালুকদার।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃণমূলের এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তবে মাহবুব তালুকদার তুলে ধরেছেন ‘ভোটারদের নির্বাচন বিমুখতা’র প্রসঙ্গ।
তিনি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের জন্য ‘অশনি সংকেত’। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনে অনেক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের টার্নআউট মোটামুটি ভালো ছিল; শতকরা ৬৯ দশমিক ৩৪ ভাগ। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচন না করেই চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হওয়া এই নির্বাচনকে ম্লান করে দিয়েছে।’
এ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা না থাকার কথা বলেছেন। নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য তো বিএনপি একটা বড় দল। তাদেরও অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারাকে মাহবুব তালুকদারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কিন্তু মাহবুব সাহেব তো নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে পারেননি।’
দেশে নির্বাচন নিয়ে সংকট চলছে বলে মনে করেন আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি এ সংকট থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতা চেয়েছেন।
মাহবুব মনে করেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চাবি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই।