সারা দেশের ১০০টি সেলুনে পরীক্ষামূলকভাবে লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক এক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, ‘আমরা যখন কোনো সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে বই, পত্রিকা, প্রভৃতি যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে করে করে আমাদের সময়টি যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ হই।
‘সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে হলেও এর কার্যকারিতা ফলপ্রসূ ও সুবিশাল।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই। বইয়ের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়তে হবে। নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকৃষ্ট করে।’
আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় দেশের লাইব্রেরিগুলো ডিজিটাল করা হবে বলেও জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। বলেন, লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে, যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে তথ্য সেবা গ্রহণ এবং প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আর্কাইভস, জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলো একটি নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেককে ৩০০০ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণাও দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
সারা দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী-পাঠক বঙ্গবন্ধুর রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করে লিখিতভাবে পাঠোত্তর প্রতিক্রিয়া এবং অভিমত প্রকাশ করার মাধ্যমে ধারাবাহিক এ পাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।