দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ১৪৪ জনের দেহে। কমেছে শনাক্তের হারও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৩৭ জনের।
দেশের ৮১৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৮২০টি। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর চেয়ে কম শনাক্ত ছিল গত ৭ মার্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
দেশে এ নিয়ে টানা তিন দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে ধরা পড়ল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।
এর আগে গত সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর মঙ্গলবার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে।
মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়।
এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী ১৪ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭, ষাটোর্ধ্ব ৭ ও সত্তরোর্ধ্ব ৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৬, খুলনায় ৩, সিলেটে ৩ ও রংপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৫৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩।