ঝালকাঠিতে যুবলীগের বর্ধিত সভা হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সভায় ৪৯ বছর পর জেলায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। তারা জানান, ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর ঝালকাঠি জেলায় এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। তবে কয়েকবার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সবশেষ ২০১১ সালে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
বর্তমানে কেন্দ্রের নির্দেশে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস রেজাউল করিম জাকির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি। প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজাহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল ও তানিন তালুকদারের।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আশা করছেন, এই সভার পরই জেলা কমিটি ও বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি করা হবে। নতুন নেতৃত্বে চাঙা হয়ে উঠবে জেলা যুবলীগ।
জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা ও পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি জেলার অধীনে যুবলীগের সব কটি ইউনিটের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা আশা করছি, বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা সফল হবে।’
ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ঝালকাঠিতে যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের অভিভাবক জননেতা আমির হোসেন আমু এমপি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সফল চেয়ারম্যান।
‘আমরা তার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। তিনিসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ভাই আমাদের যে নেতৃত্ব উপহার দেবেন আমরা তাই মেনে নেব।’