বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকার নির্বাসনে পাঠায়নি, তিনি নিজেই দেশ ছেড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, সাহস থাকলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনুক বিএনপি।
ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসে এ মন্তব্য করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে কে নির্বাসিত করেছে? তারেক রহমান নিজেই নির্বাসনে গেছেন। মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার নামে তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন আর রাজনীতি করবেন না বলে। সাহস থাকলে বিএনপিকে বলব, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।’
রাজনীতি নিজ দেশেই করতে হয় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতেই করতে হবে। দেশের রাজনীতি টেমস নদীর ওপার থেকে ডাক দিলেই হবে না, জনগণ সাড়া দেবে না।’
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর তারেককে করা হয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ১৩ বছর ধরেই যুক্তরাজ্যে। সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। পেয়েছেন কি না, সেই তথ্য আর আসেনি। লন্ডনে বসেই বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক।
বিএনপিকে অকৃতজ্ঞ বলতেও ছাড়েননি কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার বেগম জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখেনি, বরং বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। থাকলে তারা শেখ হাসিনার ঔদার্যের কাছে কৃতজ্ঞ থাকত।’
দেশ যখনই এগিয়ে যায়, বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল একটি মহল দেশের অগ্রযাত্রার গতিকে থামিয়ে দিতে চায় বলে অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেন, ‘তারা চায় দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে এবং আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করতে।’
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, ‘করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে জনজীবনে গতি ফিরতে শুরু করেছে, মানুষ ফিরে পেতে শুরু করেছে চিরচেনা কোলাহল আর চাঞ্চল্য। এ সময়ে আমাদের সবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।’
সরকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি নষ্ট করে দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে বিএনপিই মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্য দেয়নি।
‘আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে। লাখ লাখ তরুণ প্রাণে স্বপ্ন জাগিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।’