ফরিদপুরের বহুল আলোচিত শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলার আরেক আসামি আশিকুর রহমানের ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকলে সেটি আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ৪ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান ফারহান ওরফে মো. আশিক। অর্থ পাচারের বিষয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে।
‘হাইকোর্টে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আশিকুর রহমানের ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে কি না, থাকলে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে এ মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।