চট্টগ্রামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার আত্মসাতের ঘটনায় আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ফেনীর বিচারিক হাকিম ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ফিরোজ চট্টগ্রাম কোতোয়ালি ডিবির এসআই ছিলেন। সেখান থেকে তাকে বরিশালের পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। তবে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস ধরে বাড়িতে ছিলেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী নিউজবাংলাকে জানান, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবির সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান তারা।
এ ঘটনায় গোপাল ১০ আগস্ট রাতে ফেনী মডেল থানায় ফেনী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানার নামে মামলা করেন।
ওসি সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আত্মসাৎ করা ১৫টি স্বর্ণবার।
পুলিশ গোপালের মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের রিমান্ডে নেয়ার পর ছমদুল করিম ভুট্টু নামে ডিবির এক সোর্সকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে ফিরোজের সম্পৃক্ততার কথা পাওয়া যায়। এরপর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল।