বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩১

মোমেন বলেন, ‘আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনব বলে আশা করছি। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১২ আসামির একজনকে ফিরিয়ে দেয়ায় ঢাকা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকেও ফিরে পাওয়ার আশা করছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সবাইকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত দেবে আশাবদের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কের লোটে রয়্যাল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক কর্মসূচির ওপর ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়াগুলো শেষ করার কাজ চলছে।

মোমেন বলেন, ‘আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনব বলে আশা করছি।

‘এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১২ আসামির একজনকে ফিরিয়ে দেয়ায় ঢাকা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকেও ফিরে পাওয়ার আশা করছে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিএনপি ও তার ঘনিষ্ট মিত্র জামায়াত বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে অসৎ উদ্দেশে তারা বিদেশে অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে।

‘তাদের এ প্রচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও ব্যর্থ হচ্ছে। ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে। তাদের দাবি মোকাবিলা করার জন্যে আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রধানত গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশপাশি সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতিসংঘের আইন ও নীতিমালা অনুমোদন করছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাদের মধ্যে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা হলো- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)।

বাকি সাত খুনির এক জন আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদ হঠাৎ গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার ফাঁসি কার্যকর হয় গত ১১ এপ্রিল।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খানের পাশাপাশি পলতাক রয়েছেন খন্দকার আবদুর রশিদও। রাশেদ চৌধুরী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসের এই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর