আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের করণীয় নির্ধারণে এবার পাঁচটি বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দলের স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে বুধবার বিকেল চারটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।
এতে অংশ নিচ্ছেন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ সাংগঠনিক বিভাগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলার সভাপতিরা।
সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভায় উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুহাম্মদ মুনির হোসেন, বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ম্যামাচিং, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, রফিকুল ইসলাম, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মামুনুর রশিদ মামুন, মশিউর রহমান বিপ্লব, হুমমাম কাদের চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, আরিফা জেসমিন নাহিন, বিলকিস ইসলাম, খন্দকার মারুফ হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমও বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
বিএনপি ধারাবাহিক এই বৈঠকে বসেছে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নেয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই।
এই ভোটে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফলাফল করার পর বর্তমান সরকারের অধীনে বেশ কিছু উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তারা হেরে যায় বড় ব্যবধানে।
সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচন শেষে বিএনপির ঘোষণা আসে, এই সরকারের অধীনে আর কোনো ভোটে যাবে না তারা।
এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ চলে এসেছে। দুই বছরের কিছু বেশি সময় বাকি থাকতে বিএনপির পক্ষ থেকে আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের শর্ত দেয়া হয়েছে।
পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া হয় আলোচনার প্রস্তাব, যা নিয়ে বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার পর বিএনপি নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরিধি বাড়াতে যাচ্ছে।
গত ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। এরপর ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে জেলা নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাহী কমিটিতে আছেন, তাদের পাশাপাশি জেলা সভাপতিদের মতও নেয়া হচ্ছে।