ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওই ব্যক্তিকে পূর্বশত্রুতার জেরে কৌশলে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুলিশ বলছে, মামলার দুই আসামির মধ্যে একজন পলাতক। তাকে এলাকায় দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় ওই কিশোরী ও তার পরিবারের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামের কিশোরীর পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার। কিশোরীসহ তার দাদা, দাদি ও মা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে তারা দিনমজুরের কাজ করেন।
ওই কিশোরীর দাদি জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর তার নাতনিকে বাড়িতে রেখে কাজে যায় সবাই। সেই সুযোগে প্রতিবেশী আদু মিয়া বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা তিনি (দাদি) দেখে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. বাবুল সমঝোতা করার কথা বলে তাদের চুপ থাকতে বলেন।
তিনি আরও জানান, অনেক দিন হয়ে গেলেও কোনো বিচার পাননি তারা। একপর্যায়ে তারা পুলিশের হস্তক্ষেপে থানায় অভিযোগ করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন মো. মারফত ও আদু মিয়া।
তিনি জানান, ২৫ মে মারফতকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদু মিয়া পলাতক।
স্থানীয় রমজান আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মারফতের সাথে পূর্বশত্রুতা থাকায় প্রতিবন্ধী পরিবারের সহায়তায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বাবুল মেম্বার।’
তিনি জানান, মামলার পরও এলাকায় দেখা গেছে আদু মিয়াকে।
ইউপি সদস্য বাবুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী কিশোরী নিজেই মারফতের নাম বলেছে।’
তবে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী বলেছে ভিন্ন কথা। নিউজবাংলাকে সে বলে, ‘মেম্বার দাদু মারফতের নাম বলতে বলেছে। তাহলে আমাকে টাকা দিবে।’
ধর্ষণের ঘটনায় আদু মিয়ার নামও জানায় ওই কিশোরী।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি, তবে বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।