মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। কিন্তু পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এক মাঝি।
ঘটনাটি মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার। অভিযোগকারী মাঝির নাম সাইদুল মাল।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ১০ থেকে ১২ জন যুবক আড়িয়াল খাঁ নদী পার হয় তার খেয়ায় করে। এ সময় ভাড়া চাইলে তারা জানায় ফেরার পথে দেবে। কিছু সময় পর তারা ফের খেয়ায় উঠে। এবার ভাড়া চাইলে তাকে মারধর করা হয়।
সেই মারধরের ভিডিও একজন রেকর্ড করেন। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন যুবক লাঠি দিয়ে এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছেন। তাদেরকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
খেয়ামাঝি বলেন, ‘ এ ঘটনায় ৯ জনের নামে সদর থানায় মঙ্গলবার রাতে লিখিত অভিযোগ করি। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকায়। বুধবার দুপুর পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়নি। পুলিশ কোনো অ্যাকশনেও যাচ্ছে না।’
খেয়া ঘাটের ইজারাদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পাঁচখোলা এলাকার ৪ থেকে ৫ হাজার লোক প্রতিদিন খেয়া পার হন। মাঝির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা তার কাছ থেকে কোনো অর্থ আদায় করি না। এর ফলে লোকজন ৩ থেকে ৫ টাকা দিয়ে নদী পার হতে পারছে। এরপরও কিছু মানুষ ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
লঞ্চঘাট এলাকার কয়েকজন দোকানদার জানান, কিছু যুবক এখানে নিয়মিত আড্ডা দেয়। ঘাটে অবস্থান করা লঞ্চে বসে মাদক সেবন করে। তাদেরকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
লঞ্চঘাট সংলগ্ন ১ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মনির হোসেন জানান, ঘটনার পরপর সদর থানা থেকে ফোর্স এসেছিল। খেয়ামাঝি থানায় অভিযোগ করেছেন। আশা রাখি মামলা নথিভুক্ত হলে আসামিরা দ্রুত গ্রেপ্তার হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, মাঝির অভিযোগের বিষয়ে তার জানা নেই। অভিযোগ যদি থাকে তবে তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।