দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৩৭৬ জনের দেহে। তবে শনাক্ত হার পাঁচ শতাংশের নিচেই আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩১৩ জনের।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৩৬টি। শনাক্ত হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হার টানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে বিবেচিত হয়।
দেশে এই নিয়ে টানা দুই দিন শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে ধরা পড়ল। মঙ্গলবার শনাক্ত হার ছিল ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ সেই বছরের ডিসেম্বর প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর দ্বিতীয় মার্চ দেখা দিলেও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। মার্চের পর মঙ্গলবার ও বুধবার করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে আসছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৭ ও নারী ১৯ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া, বিশোর্ধ্ব ১ ত্রিশোর্ধ্ব ৩, চল্লিশোর্ধ্ব ১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৯, ষাটোর্ধ্ব ১৪, সত্তরোর্ধ্ব ৫ ও অশীতিপর ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রামে ১০, রাজশাহী ২, খুলনাতে ২, সিলেটে ২, রংপুর ও ময়মনসিংহে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬ হাজার ১৩৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩।