বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নৌপুলিশের পিটুনিতে’ জেলের মৃত্যু: ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:০৭

ওসি আসাদুর রহমান বলেন, ‘সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ‘নৌপুলিশের পিটুনিতে’ জেলের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী নৌপুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব। তিনি জানান, অভিযুক্তদের নৌপুলিশ বরিশাল অঞ্চল অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন পায়রা সমুদ্র বন্দর নৌপুলিশের এএসআই মামুন, কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন, সুমন ও আব্দুল সত্তার।

মৃত জেলের নাম সুজন হাওলাদার। তার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী এলাকায়।

এর আগে ওই ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসাদুর রহমান জানান, সুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর তার বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে বালিয়াতলীর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ওসি বলেন, ‘সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার দিন (মঙ্গলবার) বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

যা ঘটেছিল

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বালিয়াতলীর বানাতিবাজারের নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মামুনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল রাবনাবাদ নদীতে কারেন্ট জাল জব্দ করার অভিযানে নামেন।

নদীতে থাকা সব জেলে তখন তীরে উঠে পালাতে থাকে। এ সময় নৌপুলিশের সদস‌্যরা সুজনকে ধরে ফেলে ও মারধর করে। একপর্যায়ে সুজন অচেতন হয়ে পড়েন।

অচেতন অবস্থায় সুজনকে প্রথমে স্থানীয় বাবলাতলা বাজারে পল্লী চিকিৎসক মোহাব্বত আলীর কাছে নেয়া হয়। পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নৌপুলিশের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে নৌ পুলিশের এএসআই মামুন সুজনকে মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, তারা টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের দেখে সুজন ও তার সহযোগীরা তাদের ট্রলার নদীর কিনারে ভেড়ান।

ট্রলারে থাকা অপর জেলেরা দৌড়ে চলে যায়। এ সময় পুলিশ ট্রলারের কাছে গিয়ে জালের ওপর সুজনকে পড়ে থাকতে দেখেন।

বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির জানান, স্থানীয় মানুষ নৌপুলিশদের আটকে রেখেছিল। কলাপাড়া ও মহিপুর থেকে ২০-২৫ জন পুলিশ এসে নৌপুলিশের সদস্যদের নিয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর