সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোর ফলে প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়পত্রে সুদহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে সমতা আনতে এটা দরকার ছিল। তাই সুদহার কমানো হয়েছে।’
মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে সুদ হার কমানোর কথা জানায়।
তবে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আগের হারেই সুদ পাবেন। মূলত যারা ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন তাদের সুদহার আগের চেয়ে কমছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু আছে। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফা, পারিবারিক ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। এসব স্কিমে আগে ১১ শতাংশের বেশি সুদহার ছিল।
সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে এখন চলমান সঞ্চয়পত্র স্কিমগুলোতে গড়ে ১ থেকে ২ শতাংশ কমানো হয়েছে সুদহার। একই সঙ্গে তিন ধাপে সুদহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যারা আগে কিনেছেন, নতুন সুদহার তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছি। এর ফলে ক্ষুদ্র তথা প্রান্তিক সঞ্চয়কারীরা সুরক্ষা পাবেন। তারা কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন না।’
বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদহার কমতে কমতে তলানীতে পৌঁছেছে। অনেক ব্যাংকের সুদহার মূল্যস্ফীতির নীচে। এ অবস্থায় আমানতকারীরা অনেকটাই ব্যাংক বিমুখ হয়ে পড়েছেন।
উচ্চ মুনাফার কারণে সবাই সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন। সঞ্চয়পত্রে অস্বাভাবিক বিক্রি বাড়ায় সুদ পরিশোধে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর।
এ অবস্থায় বাজারে ভারসাম্য আনতে সরকার সঞ্চয়পত্রে সুদ হার পুনর্নির্ধারণ করেছে।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সুদহার কখনো কমবে, কখনো বাড়বে।’