বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমিকার ‘আত্মহত্যা’, ক্ষোভ থেকে বন্ধুকে খুন

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৪০

মুক্ত ধর বলেন, ‘আল আমিন হত্যাকাণ্ডের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আল আমিন, তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও আসামি ডায়মন্ড টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই নওগাঁ শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ফেরিওয়ালা হিসেবে তারা ব্যবসা করতে ফেনীতে ছিলেন।’

ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ডায়মন্ডের। তাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে চেষ্টা করতে থাকে ডায়মন্ডের বন্ধু ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে ডায়মন্ডের বন্ধু আল আমিন তার সহযোগী নিয়ে তরুণীর ঘরে ঢুকে যৌন নিপীড়ন চালায়। পরে ‘আত্মহত্যা’ করেন তরুণী।

প্রেমিকার ‘আত্মহত্যা’ ও তাকে যৌন নিপীড়নের প্রতিশোধ নিতে আল আমিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন ডায়মন্ড।

আল আমিন হত্যা মামলায় ডায়মন্ডকে মঙ্গলবার দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডিকে এসব তথ্য জানান তিনি।

সিআইডি জানায়, ডায়মন্ডের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দায়। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। থাকতেন ফেনীর পশ্চিম বিজয়সিংহ এলাকার লুদ্দারপাড় গ্রামের টিনশেড কলোনিতে।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে সেখানেই আল আমিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বন্ধু মো. ডায়মন্ড।

বুধবার ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তার ও হত্যার পিছনের ঘটনা নিয়ে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি জানান, প্রেমিকার আত্মহত্যার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যার ঘটনাটি গত কিছুদিন থেকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরপর সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে মঙ্গলবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্ত ধর বলেন, ‘আল আমিন হত্যাকাণ্ডের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আল আমিন, তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও আসামি ডায়মন্ড টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই নওগাঁ শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ফেরিওয়ালা হিসেবে তারা ব্যবসা করতে ফেনীতে ছিলেন।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, আসামি ডায়মন্ডের সঙ্গে নিজ গ্রামের কুমারী পপি মন্ডল নামে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পপির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে সম্পর্ক ভেঙে যায় যায়মন্ডের। পরে পপি মন্ডল বিষপানে আত্মহত্যা করেন।’

সিআইডি জানায়, পপির আত্মহত্যার কিছু দিন পর ডায়মন্ড জানতে পারেন আল আমিন কৌশলে ডায়মন্ডের ফোন নিয়ে পপিকে বলেন, ডায়মন্ড তাকে ভালোবাসে না। এর জেরেই আত্মহত্যা করেন পপি।

এ ছাড়া ডায়মন্ড জানতে পারে, আল আমিন তার সহযোগী রুবেল মন্ডল, হাসিবুর রহমান, আবু বক্করকে নিয়ে তার আগে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন চালায়।

সিআইডির কর্মকর্তা মুক্তা ধর বলেন, ‘ডায়মন্ড এসব ঘটনা জানতে পেরে আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সে ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করে বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার বড় ভাই তোফাজ্জলকেও ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়।’

বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেমিকার ‘আত্মহত্যা’ মেনে নিতে না পারায় হাতে সিগারেটের স্যাকা দিয়ে ক্ষত করেছেন ডায়মন্ড।’’

এ বিভাগের আরো খবর