আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিএমএ)।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বুধবার মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বিইসিএমএ নেতারা বলছেন, গ্রাহকরা ইভ্যালিকে সময় দিচ্ছে। প্রশাসনেরও উচিত একই পথে হাঁটা।
সংগঠনটির এক সদস্য মানববন্ধনে বলেন, ‘রাসেল ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে ইভ্যালিকে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হোক। ইভ্যালি নিয়ে সবচেয়ে বেশি নেগেটিভ কথা বলে যারা ইভ্যালিতে কখনো অর্ডার করে নাই। সকল পেশাজীবী ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করেন।
‘ইভ্যালিতে যারা অর্ডার করে প্রোডাক্ট পেয়েছেন তারা যদি ইভ্যালির দুর্দিনে সহযোগিতা না করেন, তাহলে নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হবেন। আদালত রায় না দিতেই আমরা তাকে অপরাধী বলে দিচ্ছি। তা কতটুকু যুক্তিসংগত?’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ই কমার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
১. ইভ্যালির এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার মুক্তি।
২. রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া
৩. এক্সক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে কমপক্ষে ৬ মাস সময় দেয়া।
৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করা।
৫. করোনাভাইরাসের সময়ে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দেয়া।
৬. ব্যাংক গ্যারান্টিসহ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নেয়া।
৭. ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সস্তাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তার সৃষ্টি হচ্ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ খাতকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনায় ইভ্যালি। পণ্য সরবরাহের পর তা বিক্রি করলেও মার্চেন্টকে টাকা পরিশোধ না করার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. রাসেলকে নতুন করে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
অর্থ আত্মসাতের একই মামলায় আরেক আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও তা নাকচ করেছে আদালত।
ইভ্যালির মার্চেন্ট ও মামলার বাদী মো. কামরুল ইসলাম চকদার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত গুলশান থানার মামলায় রাসেলকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছিল। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন অন্য মামলায় তাকে রিমান্ড পাঠাল আদালত।